পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহ সম্পর্কে বলতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা বলেছেন, কওমি মাদরাসা কয়েকটি ভাগে বিভক্ত ছিল। সেগুলোকে এক করে তাদের একটি সনদ দেয়া হয়েছে। নীতিমালা ও আইন দরকার, সেই আইন পাস করার জন্য আব্দুল্লাহ সাহেব ও আমার মিলিটারি সেক্রেটারি জয়নাল আবেদিন সাহেবকে দায়িত্ব¡ দিয়েছিলাম। তারা দু’জনই ঠান্ডা মাথার লোক, সুন্দরভাবে কাজটি করেছেন। আজ সেই দু’জনই নেই। শেখ আব্দুল্লাহর মৃত্যুতে আমাদের জন্য বিরাট ক্ষতি হলো। শেখ আব্দুল্লাহর অসুস্থতা প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু মেডিক্যালে তাকে নেয়ার কথা ছিল কিন্তু তাকে নেয়া হলো সিএমএইচে। নেয়ার পথে জাহাঙ্গীর গেট পার হতেই তার হার্ট অ্যাটাক হলো। মাত্র অল্প সময়ের মধ্যে পর পর তিনটি অ্যাটাক। রাত ১১টা যখন বাজে তখন খবর এলো তিনি নেই। মানুষ মরণশীল। একবার জন্মগ্রহণ করেছি, মৃত্যু অবধারিত। সবার জন্য এটা প্রযোজ্য, এটা হবেই।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলির সদস্য ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এবং ধর্ম প্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আব্দুল্লাহর মৃত্যুতে সংসদে আনীত শোক প্রস্তাবে আলোচনা করতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন শেখ হাসিনা। স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, খুব দুঃখজনক। এরপর কয়েক সেকেন্ড চুপ হয়ে যান তিনি। এসময় প্রধানমন্ত্রীকে কাঁদতে দেখা যায়। এরপর কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, আসলে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে বলতে। দু’জনকে হারানো খুবই দুঃখজনক।
গতকাল জাতীয় সংসদে সাবেক মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও ধর্মপ্রতিমন্ত্রী শেখ মো. আবদুল্লাহর মৃত্যুতে সংসদে আনা শোক প্রস্তাবের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী করোনাভাইরাস সঙ্কট এবং সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে শুরু হয় সংসদ। সংসদ নেতা ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় উপস্থিত সব সংসদ সদস্য স্তব্ধ হয়ে যান। নীরবতা নেমে আসে অধিবেশনে। টিভির পর্দায় দেখা যায় প্রধানমন্ত্রী তার মুখের মাস্কটি দিয়ে মুখ ঢেকে কাশি দিচ্ছেন। আবার গলাও ধরে যায় তার।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি (দেশে ফিরে) আসার পর থেকেই আব্দুল্লাহ সাহেবকে পেয়েছি। মনি (শেখ ফজলুল হক মনি) ভাইয়ের সঙ্গে তিনি ছিলেন। আমার নির্বাচন পরিচালনাই শুধু নয়, নির্বাচনী এলাকার সম্পূর্ণ দেখাশোনা তাকে করতে হতো। রাজনীতিতে অনেক কঠিন সময়ের মুখোমুখি হয়েছে গোপালগঞ্জবাসী। যখনই যারা ক্ষমতায় এসেছে, সেটা জিয়াউর রহমান, এরশাদ, খালেদা জিয়া, তাদের যেন একটা লক্ষ্যই ছিল গোপালগঞ্জের উপরে হাত দেয়ার চেষ্টা। আমাদের বহু নেতা-কর্মী নির্যাতিত হয়েছেন, তাদের ওপর অকথ্য অত্যাচার হয়েছে। সেই দুঃসময়গুলিতে সংগঠনকে ধরে রাখা, সংগঠনের নেতা-কর্মীদের দিকে নজর দেয়া, এ কাজগুলো অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে করে গেছেন আব্দুল্লাহ সাহেব।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।